Skip to main content

নারীসহ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম আটক! যা জানা গেল


 রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে নারীসহ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শুক্রবার রাত আটটার দিকে মিরপুর ১২ নম্বর সেক্টরের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।


স্থানীয়দের অভিযোগ, মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে পুলিশ সদর দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন। এর বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি এক ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে শুক্রবার অভিযান পরিচালিত হয়।


অভিযানের সময় মনিরুল ইসলামের সঙ্গে এক নারীও উপস্থিত ছিলেন। তাদের আচরণ এবং অবস্থান ঘিরে সন্দেহ দেখা দিলে দুজনকেই আটক করা হয়। পরে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। জানা যায়, আটক নারীকে তিনি প্রতারণার কাজে ব্যবহার করতেন এবং মাঝে মধ্যেই তাকে ব্যবহার করে নানা ধরনের সুবিধা আদায় করতেন।


পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, মনিরুল ইসলাম এক সময় সত্যিই পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তবে বিভিন্ন অনিয়ম ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কয়েক বছর আগে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। এরপর থেকেই তিনি নিজেকে এখনো ‘চাকরিরত’ কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।


এ বিষয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “আমরা মনিরুল ইসলাম ও তার সঙ্গী নারীকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অনৈতিক কার্যকলাপ এবং ভুয়া পরিচয়ে প্রতারনার অভিযোগে মামলা প্রক্রিয়াধীন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত রয়েছে, তাদের ধরতে অভিযান চলছে।”


স্থানীয়দের অনেকে জানান, মনিরুল ইসলাম এলাকার বিভিন্ন বাসিন্দার কাছ থেকে চাকরি ও নানা সুবিধার নামে টাকা আদায় করতেন। তবে তার বিরুদ্ধে আগে কেউ প্রকাশ্যে অভিযোগ করার সাহস পাননি। সাম্প্রতিক এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের পর পুলিশ সক্রিয় হয়।


পুলিশ আরও জানিয়েছে, আটককৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু নকল পরিচয়পত্র, ভুয়া নিয়োগপত্র এবং প্রতারণার আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।


এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনিরুল ইসলামের আসল পরিচয় ও কর্মকাণ্ড শুনে হতবাক হয়েছেন। তদন্তের পর পুরো চক্রের তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানি

য়েছে পুলিশ।


Comments